Wellcome to National Portal

কালের সাক্ষী বহনকারী ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম দিকে গড়ে উঠা কটিয়াদি উপজেলা-র একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল লোহাজুরী ইউনিয়ন। কালক্রমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল। ১৭ টি গ্রাম ও ৪ টি মৌজায় বিভক্ত এ অঞ্চলের আয়তন ১৬.৮ বর্গ কিলোমিটার।

লোহাজুরী ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় (উপজেলা) অবস্থিত একটি গ্রামীণ প্রশাসনিক ইউনিট।অবস্থান: লোহাজুরী ইউনিয়ন ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অংশ।ল্যান্ডস্কেপ: এলাকাটি প্রধানত গ্রামীণ, যেখানে কৃষি জমি, ছোট গ্রাম এবং স্থানীয় জলাশয় রয়েছে। সমতল ভূখণ্ড এবং উর্বর মাটি সহ গ্রামীণ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য।ইউনিয়ন পরিষদ: কটিয়াদী উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন লোহাজুরী। এটি একটি ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার পরিষদ) দ্বারা পরিচালিত হয়,(ইউপি ভবন স্থাপন কাল – ১৬/১০/১৯৮০ইং) যা স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।স্থানীয় শাসন: ইউনিয়ন পরিষদ অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সহ স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দিক তত্ত্বাবধান করে।কৃষি: লোহাজুরী ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। সাধারণ ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট এবং বিভিন্ন শাকসবজি। অনেক বাসিন্দা কৃষিকাজ ও সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত।জীবিকা: কৃষি ছাড়াও, কিছু লোক ছোট-বড় ব্যবসা বা স্থানীয় কারুশিল্পের সাথে জড়িত হতে পারে।সাম্প্রদায়িক জীবন: লোহাজুরির সম্প্রদায়ের জীবন গ্রামীণ বাংলাদেশী গ্রামের সাধারণ, শক্তিশালী পারিবারিক এবং সম্প্রদায়ের বন্ধন সহ। ঐতিহ্যবাহী অনুশীলন এবং উত্সবগুলি দৈনন্দিন জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক।শিক্ষা: এলাকার শিশুদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদান করে স্থানীয় স্কুল রয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশের জন্য কাছাকাছি শহর বা শহরে ভ্রমণের প্রয়োজন হতে পারে।পরিবহন: লোহাজুরির মতো গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামো পরিবর্তিত হতে পারে। পরিবহন স্থানীয় রাস্তা, রিকশা, এবং ব্যক্তিগত বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অন্যান্য ফর্ম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে.ইউটিলিটিস: বিদ্যুত, পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধার মতো মৌলিক ইউটিলিটিগুলিতে অ্যাক্সেস শহরাঞ্চলের তুলনায় সীমিত হতে পারে, যদিও উন্নতি চলছে।উন্নয়ন সমস্যা: লোহাজুরির মতো গ্রামীণ এলাকাগুলি প্রায়ই অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য স্থানীয় এবং জাতীয় সরকারগুলি দ্বারা সাধারণত প্রচেষ্টা করা হয়।স্থানীয় ল্যান্ডমার্ক: ইউনিয়নের মধ্যে ঐতিহাসিক বা সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক থাকতে পারে, যেমন মন্দির, মসজিদ বা কমিউনিটি সেন্টার। স্থানীয় ঐতিহ্য বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী , ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের জনসংখ্যা  প্রায় ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ লোক। যাইহোক, জনসংখ্যার পরিসংখ্যান জনসংখ্যার পরিবর্তন, স্থানান্তর এবং অন্যান্য কারণের কারণে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।সবচেয়ে সঠিক এবং আপ-টু-ডেট জনসংখ্যার পরিসংখ্যানের জন্য, আপনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে সর্বশেষ তথ্য পরীক্ষা করতে চাইতে পারেন বা লোহাজুরী ইউনিয়নের স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা সর্বাধিক বর্তমান জনসংখ্যার পরিসংখ্যান এবং জনসংখ্যার তথ্য প্রদান করতে পারে।    সৌজন্যে: ইশতিয়াক কাদের সাব্বির আফ্রাদ//ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা// 01701838932 //4 নম্বর ওয়ার্ড, চরকাউনিয়া, লোহাজুরী//ধন্যবাদ ........

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভূমি বিষয়ক তথ্য

খতিয়ান কী ?
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
সি,এস রেকর্ড কী ?
সি,এস হল ক্যাডাস্টাল সার্ভে। আমাদের দেশে জেলা ভিত্তিক প্রথম যে নক্সা ও ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় তাকে সি,এস রেকর্ড বলা হয়।
এস,এ খতিয়ান কী ?
সরকার কর্তৃক ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি করার পর যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এস,এ খতিয়ান বলা হয়।  
নামজারী কী ?
উত্তরাধিকার বা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ায় কোন জমিতে কেউ নতুন মালিক হলে  তার নাম খতিয়ানভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলে।
জমা খারিজ কী ?
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।
পর্চা কী ?
ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকের নিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চা সত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়।
তফসিল কী ?
তফসিল অর্থ জমির পরিচিতিমূলক বিস্তারিত বিবরন। কোন জমির পরিচয় প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মৌজার নাম, খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমান ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ বিবরনকে তফসিল বলে।
মৌজা কী ?
ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরুপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।
খাজনা কী ?
ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রজার নিকট থেকে সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে ভুমি কর আদায় করে তাকে ভুমির খাজনা বলা হয়।
ওয়াকফ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মুসলিম ভূমি মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যানমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যায় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দান করাকে ওয়াকফ বলে।
মোতওয়াল্লী কী ?
ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান যিনি করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে।মোতওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাষকের অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।
ওয়রিশ কী ?
ওয়ারিশ অর্থ ধর্মীয় বিধানের আওতায় উত্তরাধিকারী। কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে আইনের বিধান অনুযায়ী তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্নীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ওয়ারিশ বলা হয়।
ফারায়েজ কী ?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
খাস জমি কী ?
ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।
কবুলিয়ত কী ?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহন করে খাজনা প্রদানের যে অংঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
দাগ নং কী ?
মৌজায় প্রত্যেক ভূমি মালিকের জমি আলাদাভাবে বা জমির শ্রেনী ভিত্তিক প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সিমানা খুটি বা আইল দিয়ে স্বরজমিনে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়। মৌজা নক্সায় প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে জমি চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রদত্ত্ব নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে।
ছুট দাগ কী ?
ভূমি জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে নক্সা প্রস্তুত বা সংশোধনের সময় নক্সার প্রত্যেকটি ভূ-খন্ডের ক্রমিক নাম্বার দেওয়ার সময় যে ক্রমিক নাম্বার ভূলক্রমে বাদ পরে যায় অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের পরে দুটি ভূমি খন্ড একত্রিত হওয়ার কারনে যে ক্রমিক নাম্বার বাদ দিতে হয় তাকে ছুট দাগ বলা হয়।
চান্দিনা ভিটি কী ?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান অংশের অকৃষি প্রজা স্বত্ত্য এলাকাকে চান্দিনা ভিটি বলা হয়।
অগ্রক্রয়াধিকার কী ?
অগ্রক্রয়াধিকার অর্থ সম্পত্ত্বি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে অন্যান্য ক্রেতার তুলনায় অগ্রাধিকার প্রাপ্যতার বিধান। কোন কৃষি জমির মালিক বা অংশিদার কোন আগন্তুকের নিকট তার অংশ বা জমি বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করলে অন্য অংশিদার কর্তৃক দলিলে বর্নিত মূল্য সহ অতিরিক্ত ১০% অর্থ বিক্রি বা অবহিত হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জমি ক্রয় করার আইনানুগ অধিকারকে অগ্রক্রয়াধিকার বলা হয়।
আমিন কী ?
ভূমি জরিপের মধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তুত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলা হত।
সিকস্তি কী ?
নদী ভাংঙ্গনে জমি পানিতে বিলিন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলা হয়। সিকস্তি জমি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়স্তি হলে সিকস্তি হওয়ার প্রাককালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন, তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
পয়স্তি কী ?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়স্তি বলা হয়।
নাল জমি কী ?
সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমিকে নাল জমি বলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি কী ?
হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন, ব্যাবস্থাপনা ও সু-সম্পন্ন করার ব্যয় ভার নির্বাহের লক্ষ্যে উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি সম্পত্তি বলা হয়।  
দাখিলা কী ?
ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি কর আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফরমে (ফরম নং-১০৭৭) ভূমিকর আদায়ের প্রমানপত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।
ডি,সি,আর কী ?
ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফরমে (ফরম নং-২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি,সি,আর বলে।
দলিল কী ?
যে কোন লিখিত বিবরনি যা ভবিষ্যতে আদালতে স্বাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করেন তাকে সাধারনভাবে দলিল বলে।
কিস্তোয়ার কী ?
ভূমি জরিপকালে চতুর্ভূজ ও মোরব্বা প্রস্তুত করারপর  সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নক্সা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
খানাপুরি কী ?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।